Dhaka ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ডিসেম্বরের মধ্যে ভূমিহীনমুক্ত হবে যে উপজেলা”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • ১৬০৩ Time View
রতন কুমার রায়, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীঃ
কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ধাপের ডাংগা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৯ নম্বর ঘরে থাকেন দুই ছেলেকে নিয়ে ৪০ বছর বয়সী শরিফা বেগম। স্বামী হাসানুল হক ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বড় ছেলে শরিফ ইসলাম পাশের ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। ছোট ছেলে শাকিব ইসলামের বয়স এক বছর। ঘর ও জমি পেয়ে আনন্দের কমতি নেই শরিফা বেগমের। জানতে চাইলে বলেন, ‘কষ্টের শেষ ছিল না। মাইনসির জমিত ভাঙাচোরা ঘর বানেয়া থাকির নাগছিল। পানি ঢুকছিল ঘরোত। কী যে কষ্ট হইছিল, তা কওয়ায় যায় না। এখন শান্তি মতোন শুতি নিন পারির পাইছি। কবার পাইছি একটা ঠিকানা হইছে। জমি আছে ঘরও আছে।’ এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করলেন না শরিফা বেগম। বলেন, ‘যে কামটা গরিব মানুষগুলার করি দিছে, আর কারো সাহস হইবে না এই কাজ করি দেখেবার।ছেলে শরিফ ইসলাম বলে, ‘আগোত বাড়ি ঘর ছিল না। খ্যাড়ের ঘরোত থাকির নাগছিল। বাতাস হইলে খুব ভয় নাগছিল। খাতা-বই ভিজি গেইছিল, অ্যালা চিন্তা করো না বই খাতা ভিজিবার।’একই প্রকল্পের ৬৮ নম্বর ঘরে থাকেন আজগর আলী। ৭০ বছর বয়সী আজগর আলীর সারা জীবনই কেটেছে মানুষের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে। স্ত্রী হাসিনা বেগমকে নিয়ে এখন বসবাস করছেন সরকারি এই প্রকল্পে। বলেন, ‘সারাটা জীবন গেল এক শতক জমি কিনির পানু না। শেখের ব্যাটি মোক দুই শতক জমি দেইল, ফির পাকা ঘর বানে দেইল। আল্লাহ তার ভালো করুক। শ্রমিক হিসেবে কাম করি জীবনটা শ্যাষ হয়া গেল। শেষ বয়সে এসে একটা ঠিকানা হইল। কবার পাইছি মুই মাইনসির জমিত থাকো না।’ আজগর আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ’২০ বছর আগোত যখন মোর বিয়াও হইল, তখন মোর স্বামী মাইনসির জমিত ছিল। সংসার জীবন কাটি গেল। ছেলে মেয়ের বিয়াও হয়া গেইল। অ্যানা জমি নিবার পাইল না। শেখ হাসিনা হামাক দেখিছে। নয়া বাড়ি ঘর করি দিছে। রাইতোত ভালো করি নিন পারির পাই অ্যালা।’ শরিফা বেগম কিংবা আজগর আলী মতো ৭১টি পরিবার এই প্রকল্পে পেয়েছেন নিশ্চিন্তে ঘুমানোর ঠিকানা, যেখানে বিদ্যুৎসহ পাকা ঘর, রান্না ঘর, টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। গাছপালা আর প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে আকাশি নীল রঙের টিনের চাল পুরো এলাকার পরিবেশ বদলে দিয়েছে। এক সময়ে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নূর বানু। স্বামী আমিরুল ইসলামও একই কাজ করতেন। পুটিমারী ইউনিয়নের শাল্টিবাড়িতে অন্যের জমিতে থাকত নূর বানুর পরিবার। সেখানেই বিয়ে হয় তাদের, যদিও পরে তারা ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এখন থাকার ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পে। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে ঝিয়ের কাজ করছেন নূর বানু। তিনি বলেন, ‘হামরা যে বাড়ি-ঘর জমি পামো, এইটা চিন্তাই করির পাই নাই। একদিন উপজেলা থাকি স্যারের ঘর আসি খোঁজখবর নেইল, আইডি কার্ড নেইল, যোগাযোগ করনো। কইছিল যে তোমাক শেখ হাসিনা ঘর দিবে। ঠিক, ঘরও করি দিছে। অ্যালা খুব খুশি নাগেছে মোক। থাকির পাইছি।’ জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে এখানে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দে ঘরগুলো তৈরি করে দেয়া হয় সুবিধাভোগীদের মাঝে। দ্বিতীয় পর্যায়েও একই বরাদ্দে ঘর তৈরি করা হয়। যেখানে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দে ঘর তৈরি করা হয়েছিল। এসব ঘরে আরসিসি কলাম, গ্রেড বিম থাকলেও লিনটন নেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ঘরগুলোয় লিনটন বসানো হয়েছে। এর ফলে ঘরগুলো যেমন শক্তিশালী হয়েছে, তেমনি দীর্ঘস্থায়ীও হবে।

উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, ভালোভাবে খোঁজখবর করে সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে করা হয়েছে। উপজেলায় ৫৭৭ জনের তালিকা করা হলেও তিন পর্যায়ে এখন পর্যন্ত ৫৩৭ জনের ঠাঁই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘরে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৪০টি পরিবার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭০টি পরিবার এবং তৃতীয় পর্যায়ে ২২৭টি পরিবার রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ উপজেলাতেও কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। যার সঠিক বাস্তবায়নের ফলে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ শূন্যের কোটায় নেমে আসছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, ‘অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা সম্মিলিতভাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করি। কখনও আমরা ভাবিনি অসহায় এই মানুষরা ঘর পাবে, ঠিকানা পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্যালুট জানিয়ে আমি বলতে চাই, যারা সুবিধাভোগী হয়েছেন, তাদের একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি। আমি বলব আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে এ জেলার মধ্যে আমার উপজেলায় সেরা কাজটা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, “আর ৪০ জনকে প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হলে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে এই উপজেলা। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ উপজেলা ঘোষণা দিতে পারব আমরা।” তিনি জানান, প্রকল্প এলাকাকে সুন্দর করতে আরও পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। রাস্তাঘাট নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব করে দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ পর্যায়ে যে ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হবে, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা করে। এই টাকা দিয়ে আগেরগুলোর চেয়ে আরও ভালো মানের ঘর তৈরি করা হবে।’

রতন কুমার রায় ০১৭৬৪৭৬৩১৬১

কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী।

তারিখঃ ২৫/১০/২২

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“ডিসেম্বরের মধ্যে ভূমিহীনমুক্ত হবে যে উপজেলা”

Update Time : ০৫:০৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
রতন কুমার রায়, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীঃ
কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ধাপের ডাংগা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৯ নম্বর ঘরে থাকেন দুই ছেলেকে নিয়ে ৪০ বছর বয়সী শরিফা বেগম। স্বামী হাসানুল হক ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বড় ছেলে শরিফ ইসলাম পাশের ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। ছোট ছেলে শাকিব ইসলামের বয়স এক বছর। ঘর ও জমি পেয়ে আনন্দের কমতি নেই শরিফা বেগমের। জানতে চাইলে বলেন, ‘কষ্টের শেষ ছিল না। মাইনসির জমিত ভাঙাচোরা ঘর বানেয়া থাকির নাগছিল। পানি ঢুকছিল ঘরোত। কী যে কষ্ট হইছিল, তা কওয়ায় যায় না। এখন শান্তি মতোন শুতি নিন পারির পাইছি। কবার পাইছি একটা ঠিকানা হইছে। জমি আছে ঘরও আছে।’ এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করলেন না শরিফা বেগম। বলেন, ‘যে কামটা গরিব মানুষগুলার করি দিছে, আর কারো সাহস হইবে না এই কাজ করি দেখেবার।ছেলে শরিফ ইসলাম বলে, ‘আগোত বাড়ি ঘর ছিল না। খ্যাড়ের ঘরোত থাকির নাগছিল। বাতাস হইলে খুব ভয় নাগছিল। খাতা-বই ভিজি গেইছিল, অ্যালা চিন্তা করো না বই খাতা ভিজিবার।’একই প্রকল্পের ৬৮ নম্বর ঘরে থাকেন আজগর আলী। ৭০ বছর বয়সী আজগর আলীর সারা জীবনই কেটেছে মানুষের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে। স্ত্রী হাসিনা বেগমকে নিয়ে এখন বসবাস করছেন সরকারি এই প্রকল্পে। বলেন, ‘সারাটা জীবন গেল এক শতক জমি কিনির পানু না। শেখের ব্যাটি মোক দুই শতক জমি দেইল, ফির পাকা ঘর বানে দেইল। আল্লাহ তার ভালো করুক। শ্রমিক হিসেবে কাম করি জীবনটা শ্যাষ হয়া গেল। শেষ বয়সে এসে একটা ঠিকানা হইল। কবার পাইছি মুই মাইনসির জমিত থাকো না।’ আজগর আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ’২০ বছর আগোত যখন মোর বিয়াও হইল, তখন মোর স্বামী মাইনসির জমিত ছিল। সংসার জীবন কাটি গেল। ছেলে মেয়ের বিয়াও হয়া গেইল। অ্যানা জমি নিবার পাইল না। শেখ হাসিনা হামাক দেখিছে। নয়া বাড়ি ঘর করি দিছে। রাইতোত ভালো করি নিন পারির পাই অ্যালা।’ শরিফা বেগম কিংবা আজগর আলী মতো ৭১টি পরিবার এই প্রকল্পে পেয়েছেন নিশ্চিন্তে ঘুমানোর ঠিকানা, যেখানে বিদ্যুৎসহ পাকা ঘর, রান্না ঘর, টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। গাছপালা আর প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে আকাশি নীল রঙের টিনের চাল পুরো এলাকার পরিবেশ বদলে দিয়েছে। এক সময়ে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নূর বানু। স্বামী আমিরুল ইসলামও একই কাজ করতেন। পুটিমারী ইউনিয়নের শাল্টিবাড়িতে অন্যের জমিতে থাকত নূর বানুর পরিবার। সেখানেই বিয়ে হয় তাদের, যদিও পরে তারা ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এখন থাকার ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পে। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে ঝিয়ের কাজ করছেন নূর বানু। তিনি বলেন, ‘হামরা যে বাড়ি-ঘর জমি পামো, এইটা চিন্তাই করির পাই নাই। একদিন উপজেলা থাকি স্যারের ঘর আসি খোঁজখবর নেইল, আইডি কার্ড নেইল, যোগাযোগ করনো। কইছিল যে তোমাক শেখ হাসিনা ঘর দিবে। ঠিক, ঘরও করি দিছে। অ্যালা খুব খুশি নাগেছে মোক। থাকির পাইছি।’ জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে এখানে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দে ঘরগুলো তৈরি করে দেয়া হয় সুবিধাভোগীদের মাঝে। দ্বিতীয় পর্যায়েও একই বরাদ্দে ঘর তৈরি করা হয়। যেখানে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দে ঘর তৈরি করা হয়েছিল। এসব ঘরে আরসিসি কলাম, গ্রেড বিম থাকলেও লিনটন নেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ঘরগুলোয় লিনটন বসানো হয়েছে। এর ফলে ঘরগুলো যেমন শক্তিশালী হয়েছে, তেমনি দীর্ঘস্থায়ীও হবে।

উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, ভালোভাবে খোঁজখবর করে সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে করা হয়েছে। উপজেলায় ৫৭৭ জনের তালিকা করা হলেও তিন পর্যায়ে এখন পর্যন্ত ৫৩৭ জনের ঠাঁই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘরে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৪০টি পরিবার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭০টি পরিবার এবং তৃতীয় পর্যায়ে ২২৭টি পরিবার রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ উপজেলাতেও কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। যার সঠিক বাস্তবায়নের ফলে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ শূন্যের কোটায় নেমে আসছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, ‘অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা সম্মিলিতভাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করি। কখনও আমরা ভাবিনি অসহায় এই মানুষরা ঘর পাবে, ঠিকানা পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্যালুট জানিয়ে আমি বলতে চাই, যারা সুবিধাভোগী হয়েছেন, তাদের একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি। আমি বলব আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে এ জেলার মধ্যে আমার উপজেলায় সেরা কাজটা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, “আর ৪০ জনকে প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হলে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে এই উপজেলা। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ উপজেলা ঘোষণা দিতে পারব আমরা।” তিনি জানান, প্রকল্প এলাকাকে সুন্দর করতে আরও পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। রাস্তাঘাট নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব করে দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ পর্যায়ে যে ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হবে, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা করে। এই টাকা দিয়ে আগেরগুলোর চেয়ে আরও ভালো মানের ঘর তৈরি করা হবে।’

রতন কুমার রায় ০১৭৬৪৭৬৩১৬১

কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী।

তারিখঃ ২৫/১০/২২